,

সহদর ভাই সাইফুল হুদা’র হাত থেকে রক্ষা পেতে শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সংবাদ সম্মেলন

এম,কামরুজ্জামান,শ্যামনগর উপজেলার প্রতিনিধিঃসাতক্ষীরা’র শ্যামনগর পৌরসভার নকিপুর গ্রামের মৃত হেকমত আলীর ছেলে এ টি এম সামসুল হুদা(ঝন্টু) সহদর ভাই সাইফুল হুদা’র হাত থেকে রক্ষা পেতে শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।রবিবার ১৭ মার্চ সকাল ১১টায় প্রেসক্লাব হলরুমে সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এ টি এম সামসুল হুদা। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন,আমি দীর্ঘ ২৩ বছর যাবত শ্যামনগর কেন্দ্রিয় কামিল (এম.এ) মাদরাসায় শারীরিক শিক্ষা শিক্ষক পদে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসিতেছি। আমার পিতাও ছিলেন নকিপুর পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মরহুম হেকমত আলী। আমার বৃদ্ধা মাতাকে আমিও আমার ছোট ভাই ও মেঝভাই সকল ভরণ-পোষণ করে আসিতেছি। আমার সেজো ভাই মোঃ সাইফুল হুদা ও ভাবী খাদিজা পারভীন দীর্ঘ দিন ধরে আমাদের সাথে শত্রুতা পোষণ করে আসিতেছে। গত ১৬ মার্চ আমি ও ছোট ভাই মঈনুল হুদা আমার পুত্র কলেজ ছাত্র তানজিম ও প্রতিবেশি সৈকত পালকে বিবাদী করে আর্মি হাউজ দর্জি টেইলার্স নামে ডিজিটাল ব্যানারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ও মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত উল্লেখ করে ব্যানারটিকে ছিড়িয়া ফেলা ও পদদলিত করেছে মর্মে শ্যামনগর থানায় অভিযোগ করে। প্রকৃতপক্ষে ঐ ব্যানারে বঙ্গবন্ধু ও মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কোন ছবি ছিল না। যাহা শ্যামনগর থানার এস,আই সুব্রত ও এস,আই সাখাওয়াত সরেজমিনে তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। পরবর্তীতে আমার সহ আমার পরিবারের সকলকে মিথ্যা মামলায় হয়রানি ও খুন জখমের হুমকি প্রদর্শন করে। এছাড়া আমার সেজো ভাই ও ভাবী গত ৭/০৪/২০১৫ তারিখে আমার মা সহ অন্যান্য ভাইদের জীবন নাশের হুমকি দেওয়ায় আমার মা নুরুন্নেছা খানম নিরাপত্তার স্বার্থে সাইফুল হুদা ও খাদিজা পারভীনকে বিবাদী করে শ্যামনগর থানায় ২৬০নং জিডি করে। যাহা তদন্তে সত্য প্রমাণিত হওয়ায় সাইফুল হুদা ও খাদিজা পারভীন ক্ষমা প্রার্থনাসহ এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না বলে নিশ্চিয়তা প্রদান করেন। উল্লেখ্য ০৯/০৪/২০১৫ সালে ইউনিয়ন পরিষদের বিচারেও তারা দোষী প্রমাণিত হয় বলে চেয়ারম্যান আদেশ প্রদান করেন। আমি দীর্ঘ ২৩ বছর সুনামের সহিত শিক্ষকতা করে আসিতেছি। আমি একজন আদর্শ দেশ প্রেমিক। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ও জননেত্রী শেখ হাসিনাকে শ্রদ্ধা করি। ব্যানারে বঙ্গবন্ধু ও প্রধান মন্ত্রীর কোন ছবি ছিল না। ব্যানারটি আমরা আদৌও ছিড়ি নাই বা পদদলিত করি নাই। এমন একটি মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আমাদের হয়রানী ও মান-সম্মান নষ্ট সহ বঙ্গবন্ধু ও মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর ছবির সাথে প্রতারনা করেছে। এহেন জঘন্য অপরাধের জন্য আপনাদের লিখনির মাধ্যমে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *